মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১ প্রকাশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত এর মধ্য দিয়ে আজ আমরা এখানে এসে। মাদারীপুর ১৮৫৪ সালে মহকুমা হিসেবে ঘোষিত হওয়ার দীর্ঘদিন পর ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন এর শুরু এখান থেকেই। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন বলতে গেলে এখন শৈশব ছেড়ে যৌবনে পদার্পন করেছে। বয়সে নবীন হলেও অতীত ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন তাঁর সমসত্ম শক্তি, সম্পদ এবং সম্ভাবনা নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এর আরো তথ্য দেখুন bdjobsedu.com এ।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় নিয়োগ ২০২১
- সময়সীমাঃ ১১ মার্চ ২০২১
- পদ সংখ্যাঃ ৬ টি
- অনলাইনে আবেদন করুন

জনপ্রিয় চাকরির খবর সমূহ
Madaripur DC Office Job Circular 2021
১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ পতন মধ্যদিয়ে এদেশে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। ১৭৬৫ থেকে ১৯৪৭ খ্রিঃ পর্যমত্ম প্রায় দু’শ বছর ইংরেজরা বাংলা শাসন করে। ১৮৫৪ সাল মাদারীপুর স্থানীয় নাম ছিল। ১৮৫৪ সালে মহকুমা এবং থানা সৃষ্টি হলে ’মাদারীপুর’ নাম প্রশাসনিক স্বীকৃতি লাভ করে। ইংরেজ আমলে মাদারীপুর অনেক আন্দোলন সংগ্রাম এর তীর্থভূমি ছিল। বিখ্যাত ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজি শরিয়ত উল্লাহ জন্ম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুরে। তিনি ১৮২০ সাল থেকে ১৮৫০ সাল ধর্মীয় কুসংস্কার, নীলকর ও জমিদারদের অত্যাচার এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁরই সুযোগ্য পুত্র দুদু মিয়া ফরায়েজি আন্দোনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ইংরেজ আমলে উপমহাদেশ এর স্বাধীনতা সংগ্রামে মাদারীপুরের বিপ্লবীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। এই জেলার কৃতী সমত্মান চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী ১৯১৫ সালে বালেশ্বর যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মৃত্যুবরণ করেন।
বালেশ্বর যুদ্ধে নীরেন্দ্র নাথ দাশগুপ্ত এবং মনোরঞ্চন সেনগুপ্ত বন্দী হন। বালেশ্বর জেলে তাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয় এই জেলার অগ্নিপুরুষ অম্বিকাচরণ মজুমদার নিখিল ভারত কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। তিনি আধুনিক ফরিদপুরের রূপকার। ১৯৪৭ সালে বাংলা বিভক্ত হয়ে পূর্ববাংলা নামে পাকিসত্মান এর একটি প্রদেশে পরিণত হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিসত্মান সৃষ্টির পর পূর্ব বাংলার জনগণ এর আশা আকাঙক্ষা ও স্বপ্ন ধীরে ধীরে ভাঙ্গতে শুরু করে। পাক প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার জনগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের ক্ষমতা করার চেষ্টা চালায়। এদশের জনগণ সমসত্ম শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও উনসত্তর এর গণঅভ্যূত্থান এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে মাদারীপুর এর কৃতী সমত্মানরা বলিষ্ট ভূমিকা পালন করে।